দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম | দাউদ রোগের ঘরোয়া এবং ডাক্তারী চিকিৎসা
![]() |
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম | ঘরোয়া এবং ডাক্তারী চিকিৎসা |
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
2. Elvina cream ( এলভিনা ) ১০ gm মূল্য ৳৮০.০০ টাকা।
3. Lulizol cream ( লুলিজল ) মূল্য ৳৯৬.০০ টাকা।
4. Mycofin cream ( মাইকোফিন ) ১০ gm মূল্য ৳৬৫.০১ টাকা।
5. Lucazol cream ( লুকাজল ) ১০ gm মূল্য ৳৯০.০৪ টাকা।
6. Terbex cream ( টারবেক্স ) ১০ gm মূল্য ৳৩১.৫২ টাকা।
7. Infud cream ( ইনফুড ) ১০ gm মূল্য ৳৬৫.০০ টাকা।
8. Lulitop Lulinox cream ( লুলিটপ লুলিনক্স ) ১০ gm মূল্য ৳১৬২.২৪ টাকা।
এছাড়া ও নিচে, দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষুধ এর নাম দেওয়া হলো।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষুধ
1. (Flucon) ১৫০ gm মূল্য ৳২২.০৭ টাকা।
দাউদ কেন হয় ?
দাউদ রোগের ঘরোয়া এবং ডাক্তারী চিকিৎসা
দাউদ একটি ছত্রাক জনিত সংক্রামক চর্মরোগ। এই রোগের প্রথম লক্ষন হচ্ছে প্রচন্ড চুলকানি। যাদের ত্বক সংবেদনশীল এবং অপরিষ্কার তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
যেহেতু এটা সংক্রামক রোগ তাই আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে সুস্থ মানুষেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সব জিনিসের মাধ্যমেই এই রোগ ছড়াতে পারে।
দাদ রোগের চিকিৎসাঃ-
দাদ রোগ সনাক্ত করার সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করলে নিরাময় পেতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। অনেকেই ফার্মেসী থেকে ঔষধ এনে খান দাদ কমানোর জন্য।
কিন্তু এটি সবথেকে বড় ভুল। কারন দাদের ঔষধ নির্ভর করে রোগের তীব্রতার উপর।তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপরিউক্ত মলম গুলো ব্যবহার করলে আপনার রোগ বিস্তার রোধ করবে। এবং আপনি পুরোপুরি নিরাময় পাবেন।
আরো পড়ুন:
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ৭টি উপায়
সারা গায়ে চুলকানি ট্যাবলেট এর নাম ও দাম সহ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাউদ রোগের চিকিৎসা
কিছু কিছু ঘরোয়া জিনিস ব্যবহারে দাদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবোঃ-
-
রসুন:- রসুন সব ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ২-৩ কোয়া রসুন খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে আক্রান্ত স্থানে লাগান।ঘন্টাখনেক লাগিয়ে রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।কিছু দিনেই ভালো ফলাফল পাবেন।
-
কাঁচা হলুদের রস:-কাচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি সেপটিক, এন্টিফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল,এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান।যা দাদ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।সবথেকে ভালো ফল পেতে তাজা হলুদ সামান্য পানি দিয়ে ঘন মিশ্রন তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
-
অ্যালোভেরাঃ-অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি সেপটিক,এবং রেজিন নামের উপাদান। যা দাদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। অ্যালোভেরা পাতা খেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে ফেলুন। এই জেল আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। সবথেকে ভালো ফল পেতে দিনে ৩ বার ব্যবহার করুন।
-
সাবান পানি:-সাবান পানিতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট যা সব রকমের ক্ষত স্থান শুকানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাজারে বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান পাওয়া যায়। এই ধরনের সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন, তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
-
মধু:মধুতে আছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। যেটি ছত্রাকনাশক সব ধরনের রোগের বৃদ্ধি নাশ করে।একটি পরিষ্কার কাপড়ে মধু লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন লাগান।১ মাসেই ভালো ফলাফল পাবেন।
-
জায়ফল: জয়ফলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান।যা ছত্রাকজনিত রোগ সারিয়ে তোলে।জায়ফল গুড়া পরিমানমত পানিতে মিশিয়ে একটা ঘন মিশ্রন তৈরু করুন আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগান।
-
তুলসী পাতাঃ– তুলসি পাতায় রয়েছে ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাক প্রশমনের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। তুলসীপাতা নিয়মিত সংক্রমিত স্থানে ব্যবহার করার মাধ্যমে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়া রোধ হবে। এটির নির্যাস ব্যবহারে আপনি চুলকানি থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।
-
নিম পাতা: যে কোনো ধরনের জীবানু ধ্বংস করতে নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই অবগত। নিম পাতার রস নিয়মিত ক্ষত স্থানে লাগানোর মাধ্যমে আপনি বেশ উপকার পাবেন।
-
নারকেল তেল: ফাঙ্গাল ইনফেনশন দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিস খুবই উপযোগী। এই উপাদানটি নারকেল তেলে বিদ্যমান। তাই নারকেল তেল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার দাদ রোগ থেকে পরিত্রান পেতে পারেন।তাছাড়া নারকেল তেল আপনার ক্ষত জায়গার প্রদাহ থেকেও আরাম দেবে।
-
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: প্রতিদিন ৩-৫ বার এই অ্যাপল সিডার ভিনেগার একটি পরিষ্কার কাপড়ে ডুবিয়ে ক্ষত স্থানে প্রয়োগ করতে হয়। দাদ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।
-
পুদিনা পাতা: আমাদের দেশে পুদিনা পাতা খুবই সহসলভ্য। পুদিনা পাতার রসের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে একরা ঘন মিশ্রন তৈরি করে আক্রানত স্থানে লাগান। শুধুমাত্র ক্ষত স্থানে এটি ব্যবহার করুন।
-
সরষে বীজ: এই রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য সরষে বীজের কোন বিকল্প নেই বলা চলে। সরষে বীজ আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সরিষা বীজ গুলো পানি থেকে উঠিয়ে পাটায় বেটে একটা পেষ্ট তৈরি করুন। কিছুদিন ব্যবহারেই আক্রান্ত স্থান পুরোপুরি সেরে উঠবে।
উপরিউক্ত ১২টি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে দাদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া দাদ নিরাময়ে আপনাকে বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কিছু সাবধানতা মানতে হবে :
১) আপনার রোগের তীব্রতা বুঝে অবশ্যই আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হবে।
২) সংক্রমিত স্থান বার বার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) সংক্রমন এড়াতে আপনার ব্যক্তিগত জিনিস কাউকে ব্যবহার করতে দিবেন না।
৪) পরিষ্কার এবং সুতির অর্ন্তবাস ব্যবহার করুন।
৫) আক্রান্ত স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে আবার শুকিয়ে নিন।
৬) আক্রান্ত স্থানে নখের আচড় দিবেন না।
৭)আপনার অসুখ সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করুন। যাতে তারা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে।
শেষ কথা:- আশা করছি দাউদ সম্পর্কিত তথ্য গুলো জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের জন্যই অনেক রিসার্চ করে টাইম ইনভেস্ট ও কষ্ট করে কনটেন্ট লিখি। দয়া করে আপনার মতামত কমেন্ট বাক্স এ জানাবেন।
দাদ একটি সংক্রামক এবং অসস্তির অসুখ।এই রোগের মাধ্যমে আপনার জীবন নাশের হুমকি নেই কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক চিকিৎসা পেলে দাদ ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
Learn More: Pathon Setu – আপনার জন্য সব ধরনের তথ্য