class 8 history page 42,43

 ১. শূন্যস্থান পূরণ করো :


(ক) ভগবানের প্রতি ভক্তের ভালোবাসাই হল___________________। 


উত্তর ঃ- ভক্তিবাদ। 


(খ) শিক ধর্মের প্রবর্তক হলেন______________________।


 উত্তর ঃ- গুরুনানক । 


(গ) মীরাবাঈ______________________সাধিকা ছিলেন। 


উত্তর ঃ- কৃষ্ণের একনিষ্ঠ। 


(ঘ) দুই পংক্তির কবিতাকে________________________বলে।



উত্তর ঃ- দোঁহা।


(ঙ) চিশতি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন______________________। 


উত্তর ঃ-খাজা মইনুদ্দিন। 


২. সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করো :


(ক) নতুন ধর্মীয় ‘চিন্তা চেতনা’ প্রসূত ফলই হল – ভক্তিবাদ ও সুফীবাদ। ।


উত্তর ঃ-সত্য। 


(খ) উত্তর ভারতে ভক্তিবাদীরা নায়নার ও আলওয়ার নামে পরিচিত ছিল। 


উত্তর ঃ-মিথ্যা। 


(গ) ভজনের মাধ্যমে ভক্তিবাদের প্রচার করেন।


উত্তর ঃ-সত্য। 



(ঘ) দোঁহা সংস্কৃতে লেখা।


উত্তর ঃ-সত্য। 


৩.অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (একটি-দুটি বাক্যে) :


(ক) ভক্তিবাদ কাকে বলে? একজন ভক্তিবাদী সাধকের নাম লেখো।


উত্তর ঃ-ভক্তিবাদ হল ভগবানের প্রতি ভালোবাসা।  একজন ভক্তি বাদীর সাধকের নাম হল মীরাবাই,  চৈতন্যদেব,  নামদেব । 


(খ) সুফিবাদ কী?


উত্তর ঃ-সুফিবাদ শব্দটির অর্থ হল প্রশমের  তৈরি এক টুকরো কাপড়।সুফি সাধকরা এই ধরনের কাপড়ের পোশাক ব্যবহার করতেন। 


(গ) শ্রীচৈতন্যদেবের প্রবর্তিত ধর্মের নাম কি? তিনি কোন অঞ্চলে ভক্তিবাদের প্রচার করেছিলেন?


উত্তর ঃ- বৈষ্ণব আন্দোলন চৈতন্যদেব প্রবর্তিত ধর্মীয় ও সামাজিক আন্দোলন, যা ‘ভক্তি আন্দোলন’ নামে পরিচিত।তৎকালীন হিন্দু সমাজের প্রচলিত জাতিভেদ প্রথা এবং ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার এর বিরুদ্ধে নদীয়ায় এ  আন্দোলন গড়ে ওঠে।


(ঘ) ‘সিলসিলা’ ও ‘খানকা’ কি?


উত্তর ঃ- সুফিরা বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত হলে এগুলোকে ‘সিলসিলা’ বলে। সুফি সাধকরা তাদের শিষ্যদের নিয়ে যে আশ্রমের থাকতেন তাকে ‘খানকা’  বলা হয়।



৪. সংক্ষেপে উত্তর দাও (তিনটি-চারটি বাক্যে) :


(ক) শিখধর্মের প্রবর্তক কে? তাঁর ধর্মপ্রচারের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা কর।


উত্তর ঃ- শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরুনানক। গুরুনানকে  ধর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য এক  ঈশ্বর,এই ঈশ্বরের স্বরূপ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন ইশ্বর সত্য শ্রেষ্ঠ। হিন্দু মুসলমানের জন্মগত ও সামাজিক মিলনের চেষ্টা করেন তিনি। 

See also  অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও


 (খ) সুফিবাদী মতবাদীরা কটি ভাগে বিভক্ত ছিল? তাদের মত পার্থক্যের তুলনামূলক আলোচনা কর। 


উত্তর ঃ- সুফি মতবাদটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল।চিশতি ও সুহরাবর্দি।।তাদের মত পার্থক্যের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো-


চিশতি-

(১)সুফি মতবাদের  অন্যতম গোষ্ঠী ‘চিশতি’ তাদের বসতি ছিল দিল্লি ও গঙ্গা যমুনা দোয়াব অঞ্চলে। 

(২)চিশতী এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন খাজা মইনুদ্দিন। 

(৩) চিশতি সাধকের জীবন ছিল খোলামেলা তারা ধর্ম অর্থ ও ক্ষমতার ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন।  সব মানুষই তাদের কাছে সমান ছিল। 


সুহরাবর্দি- 

(১)  সুহরাবর্দি গোষ্ঠীর বসতি ছিল সিন্ধু, পাঞ্জাব ও সুলতানে। এরা অপর একটি সুবিধাদি গোষ্ঠী নামে পরিচিত। 

(২)  সুহরাবর্দি  এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বদরুদ্দীন জাকারিয়া।

(৩)  গোষ্ঠীর সুফি সাধকরা দরিদ্রের বদলে আরামের জীবন পছন্দ করতেন এমনকি উপহার দরবারে উচ্চপদে তারা সংকোচ বোধ করতেন না।


(গ) কবীরের ধর্মনীতি ও মূল আদর্শ সম্পর্কে লেখো।

উত্তর ঃ-*কবির কাছে সব ধর্মই ছিল  এক, সব ভগবানের  সমান।  

             *  কবির  দর্শন হিন্দু-মুসলমানদের ভেদাভেদ মেটাতে সাহায্য করেছিল। 

             তিনি মনে করতেন সব মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর বিদ্যমান। 



(ঘ) কোন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভক্তিবাদ ও সুফিবাদের জন্ম হয়েছিল। 

উত্তর ঃ-মধ্যযুগের ভারতে জীবনযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল ধর্ম ভারতের সুলতানি আমলে ধর্ম নিয়ে নতুন কিছু ভাবনা আর কথা শোনা যায় পুরনো আমলের    ধন্যবাদ বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম কায়েম ছিল। কিন্তু মানুষের মনের উপর তাদের প্রভাব ধীরে ধীরে কমে আসছিল।  এই অবস্থায় ভক্তিবাদ ও সুফিবাদ এর কথা শোনা যেতে থাকে।