ভালো রাউটার চেনার উপায় | সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি

ভালো রাউটার চেনার উপায় | সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি: প্রতিনিয়তই মানুষ ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর এটা দিন যতই বাড়বে ততই বেশি প্রচলন দেখা যাবে। আবার ইন্টেরনেট ছাড়া জীবন অচল প্রায়। 

 

ভাবুন তো সেই লোকটির কথা, যে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে না বা করতে পারে না। তার দিকে লক্ষ করলে অবাক লাগে। সমাজে কে ই বা তাকে কতখানি মুল্য দেয়। আবার যে ইন্টারনেট যত বেশি ভালো বোঝে, মানুষ তার দিকে তত বেশি সম্পর্ক করার চেষ্ট করে।

 


আমাদের সবার জীবনেই ইন্টারনেট ব্যাবহারের বিকল্প নেই। দৈনন্দিন প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট জড়িয়ে পড়েছে। ইস্কুল জীবন, সামাজিক জীবন, চিকিৎসা, শপিং, বিবাহ সহ সকল বিষয়ে এই ইন্টারনেট।

 

ভালো রাউটার চেনার উপায় | সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি

 

ভাবুন তো যাকে নিয়ে এতো আয়োজন, তার শক্তি কতখানি হওয়া দরকার? যাই হোক, আজ আমরা যে পোস্টটি লিখেছি এটি সম্পুর্নই শক্তিশালী ইন্টারনেট পাওয়ার জন্য। আজ ভালো রাউটার চেনার উপায় সমন্ধে জানতে চলেছি।

 

রাউটার কি

দুনিয়া যতই উন্নত হচ্ছে, ঠিক ততই আমরা ইন্টারনেট চালানোর জন্য অগ্রসর হচ্ছি। ইন্টারনেট কি, এই বিষয়টি আশাকরি সবাই ই জানেন। ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য আমাদের যে গ্যাজেটগুলো লাগে তার মধ্যে একটির নাম রাউটার।

যারা ওয়াইফাই ব্যাবহার করে, তাদের এই রাউটার ব্যাবহার করতে হয়। কেননা ওয়াইফাই থেকে সরাসরি লাইন আসে না। রাউটারের মাধ্যমে লাইন সাপলাই হয়ে থাকে। তবে এর সাথে আরো একটি জিনিশের প্রয়োজন হয়, আর সেটি হলো অনু। ভালো অনু কীভাবে চিনবেন, কোথা থেকে কিনবেন, কত টাকা দাম ইত্যাদি বিষয়ে আগামিতে পোস্ট আসবে।

এবার আপনি দি কোন একটি রাউটার ব্যাবহার করেন, আর সেটা ভালো না হয়। তাহলে আপনি ইন্টারনেট স্পিড বা শক্তি ভালো পাবেন না। ফলে ইন্টারনেট ব্রাউস করে শান্তি পাবেন না। তাই এই পোস্টটি আপনার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন।

 

ভালো রাউটার চেনার উপায়


রাউটার কি, সেই সমন্ধে উপরে ভালোভাবে বুঝিয়েছি। এবার ভালো রাউটার সমন্ধে বলবো। স্বাধারনত, রাউটার অনেক ডিজাইন ও ধরনের হয়ে থাকে।

ডিজাইনচা আসলে কোন মেটার না, এটা সবাই ই বোঝেন। তবে প্রয়োজনীয় যে বিষয়টি তা হলো কোন ধরনের রাউটার কী কাজের জন্য ভালো।

কিছু রাউটার কে রুম রাউটার বলে, কিচু রাউটারকে হোম রাউটার বলে, আবার অন্যান্য অনেক রাউটার আছে। রুম রাউটার হলো শুধু রুমের মধ্যে ই বেশি স্পিড পাবে। রুমের বাইরে এটার স্পিড কমে যায়।

See also  Why Premium PPF is Worth Every Penny: A Long-Term Investment in Your Car

যদি আপনি আপনার ছোট বাসায় ব্যালবহার করার জন্য কিনতে চান, তাহলে রুম রাউটার কিনতে পারেন। এটা হয়তো এক বাসা থেকে অন্যা বাসা বা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি তেমন ভালো রেজাল্ট দিতে পারবে না। তাই আপনার জন্য রুম রাউটার ই সবচেয়ে ভালো হবে।

যদি আপনার একটি বড় ফ্লাট বাসা থাকে, বা কাছাকাছি ২ টা বাসা বা বাড়ি থাকে, আর আপনি চান যে ২ টা বাড়িতেই এক রাউটার থেকে ইন্টারনেট ব্যাবহার করবেন, তাহলে আপনি হোম রাউটার বা অন্য গুলো কিনুন। তাহলে আপনার স্পীড ঠিক থাকবে।

 
 
আরো পড়ুন: 
 
 

যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা

 
 

কোন কোন কম্পানি ভালো রাউটার তৈরি করে

আসলে সব কম্পানি ই ভালো রাউটার তৈরি করে। কেউ ই চায় না যে তার কম্পানির খারাপ হোক। তার কম্পানির পন্য মানুষ খারাপ বলুক। তাই সব কম্পানি ই ভালো করার চেষ্টা করে, তার মধ্যেও কিছু কম বেশি থাকে।

তবে আমি কোন স্পনসারে পোস্ট লিখি নাই যে, কোন কম্পানিকে ডাবিয়ে দিব আর কোন কম্পানিকে ফুটিয়ে তুলবো। আমি শুধু আমার নিজের অভিঞ্জতা শেয়ার করতেছি। কিছু ইউটিউবার আছে, যারা স্পনসার নিয়ে অন্য কম্পানিকে মেরে ফেলার মতো রিভিউ দেয়।

তবে প্রথমেই শিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনার, আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনার ব্যাবহার কেমন এটার উপর। আপনার ব্যাবহার অনুযায়ী কি, আপনি হোম রাউটার নিবেন না রুম রাউটার নিবেন, এটা একান্তই আপানর ব্যাবহারের উপর আপনার সিদ্ধান্ত। আর রুম রাউটার এবং হোম রাউটার এর পার্থক্য উপরে বলে দিয়েছি।

ইন্টারনেট স্পীড ভালো করার উপায়


এখানে ই সবাই বেশি ভুল করেন। রাউটার কিনেন রুম রাউটার আবার পুরো ফ্লাটে নেট চায়। তাই এই ভুলটা করা যাবে না। ব্যাবহারের উপর নির্ভর করে রাউটার কিনতে হবে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় ডাউনলোড বা আপলোড স্পীডও কম বেশি হয়। এর পেছনে ২ টা করন কাজ করতে পারে, প্রথমত আপনি যে কম্পানি থেকে ইন্টারনেট নিচ্ছেন, বা আপনার নেটওয়ার্ক প্রভাইটর এর লাইন অনুযাযী নির্ভর করে। তাদের লাইনের স্পীড ঠিক থাকেলে আপনিও ভালো ইন্টারনেট পাবেন।

আবার যদি আপনি আপনার মেগা স্পীড যা চেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি ডিভাইস, বা মোবাইল কম্পিউটারে ব্যাবহার করেন, তাহলেও এই সমস্যাটি ফেস করতে হবে।

এর পরে আপনার রাউটারের এনটেনাও এর উপর প্রভাব ফেলবে। আপনার রাউটারের এনটেনা কয়টি সেটিও খেয়াল করে ব্যাবহার করতে হবে।

 

আপনি যদি রুম রাউটার কিনেন ,তাহলে বাসা বা বাসার অনেক কাছাকাছি যায়গাতে ইন্টারনেট পাবেন। দুর থেকে পেলেও তেমন ভালো কাজ করবে না। আর অন্য রাউটার গুলো কিনলে একটু দুর থেকেও ভালো সার্ভিস পাবেন। তবে, রুম রাউটারে শুধু রুম থেকেই ভালো স্পীড দিবে, আর অন্য গুলোতে রুমের মধ্যে রুম রাউটারের তলনায় কম নেট পাবেন, কিন্তু দুরেও পাবেন।

See also  Navigating Cross-Browser Testing Challenges with Playwright
 

কয়েকটি ভালো মানের অল্প দামের রাউটার

স্বাধারনত TP link, MI, সহ আরো কিছু কম্পানি রুম রাউটার তৈরি করে। মানে এরা রুম কে লক্ষ করে রাউটার তৈরি করেন।

আবার ওয়ালটন, তরঙ্গ সহ এই ধরনের কিছু কম্পানি হোম রাউটার তৈরি করে, এগুলো ব্যাবহার করলে আপনি বাড়ির পাশে থেকেও অনেক দুর পর্যন্ত ব্যাবহার করতে পারেন। তাই এগুলো লক্ষ করেই রাউটার কিনতে হবে।

 

1/ Tenda Router

 

একক ব্যান্ড (2.4 গিগাহার্টজ) 300 Mbps, 2 x 5dBi অ্যান্টেনা Tenda Router দাম ১০০০ টাকার মতো, কালো বাজারে লক্ষ করলে এই রাউটারগুলো কিছুটা কমে বিক্রি করতে দেখা যায়। তাই কেনার আগে সেগুলো লক্ষ করতে পারেন।

 

জনপ্রিয় এই রাউটারটি বাংলাদেশের মানুষের চাহিদার সাথে মিলে গেছে। তাই এটির ব্যাবহার অনেক বেশি দেখা যায়। এই রাউটারের ৩০০ Mbps ডেটা টেনেস্ফার করার ক্ষমতা এই রাউটারের জনপ্রিয়তা অনেক বাড়িয়েছে।

এই মুল্যের মধ্যে অন্য রাউটার গুলো তেমন ভালো সার্ভিস লক্ষ করা যায় না, তাই আপনিও এটি আপত্তিহীন ব্যাবহারের জন্য নিতে পারেন।

 

 

2/ D-Link DIR-165

 

 

300 Mbps, দুটি 5dBi অ্যান্টেনা D-Link DIR-165 দাম ১৩০০ টাকার মতো, তবো এটা বাড়তে এবং কমতে পারে। দামটা ওপরের দেওয়া রাউটারের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে এটাও ৩০০ Mbps ডেটা ট্যানেস্ফার করার ক্ষমতায় প্রশিদ্ধ। তবে এখানে ৫ টি অ্যান্টেনা ব্যাবহার করা হয়েছে।

 

৫ টি অ্যান্টেনা ব্যাবহার করা এই রাউটারটি খুবই শক্তিশালী পারফরমেন্স দিতে সক্ষম। যদি আপনার ফ্লাটটি একটু বড়ো শড়ো হয়, তাহলে আপনি নিমিশেই এটি ব্যাবহার করতে পারেন। এর শক্তিশলী ৫ টি অ্যান্টেনায় আপনার পুরো বাড়িটি কভার করতে সক্ষম হবে বলে মনে করি।

 

3/ TP-LINK ,TL-WR840N 300 Mbps Wi-Fi


2 x 5dBi অ্যান্টেনা TP-LINK ,TL-WR840N দাম ১২০০ টাকার মতো, রাউটারের বাজারে লক্ষ করলে এতো কমে ৩০০ Mbps আবার ৫ অ্যান্টেনা রাউটার ভাবাটাও অবাক করার মতো। কিন্তু এটাই শত্য, যে TP-LINK কম্পানিও আপনাকে ৫ অ্যান্টেনা বিশিষ্ট এই রাউটারটি মাত্র ১২০০ টাকায় দিচ্ছে।

বাংলাদেশের ১ নম্বার রাউটার হিসেবে কাকে চিনেন আপনি, সেটা আমি জানি না। ১ নম্বার ২ নম্বার বলে কাউকে ছোট করার ইচ্ছেও আমার নেই। তবে শত্য বলতেই হবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রাউটার ব্যাবহৃত হয় এই TP-LINK কম্পানির। আর আমি এই TP-LINK কম্পানির সকল রাউটারের ই যথেষ্ট ভালো রিভিউ পেয়েছি।

 

4/ XIAOMI MI 4C 300Mbps


4 x 5dBi অ্যান্টেনা XIAOMI MI 4C দাম ১৫০০ টাকার মতো, শাওমি ব্রান্ডকে চিনেন না এমন লোক বাংলায় পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কারন শাওমি একটি চালাক প্রানী, মানে একটি চালাক কম্পানি।

তবে যা ই হোক, এই কম্পানির কোন পন্যকে খারাপ বলা যায় না। তবে এই ধরনের পন্য নিয়ে রিভিউ করা মানেই হলো বোকামি। কারন, আমি যদি ভালো বলি, আর আপনি যদি কখনো তাদের খারাপ দিক দেখে থাকেন বা আমি খারাপ বললে আপনি ভালো দিক দেখে থাকলে আপনি আমাকে গালি দিবেন।

See also  How Does Window Tinting Help Protect Your Skin and Eyes on the Road?

আমি এর কোন রিভিউ দিচ্ছি না। তবে এই ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট ই অযথা না। ঠিক এটাও অযথা দেই নাই। এর থেকে ভালো ফলাফল আসছে বিদায় এই পোস্টে এর ঠাই হয়েছে।

শাওমির রাউটারগুলো ও রুম রাউটার করা হয়। তাই আপানার যদি রুম রাউটার লাগে তাহলেই এটা কিনতে পারেন। অন্যাথায় কিনলেও ভালো ফল পাবেন না।

 

5/ TP-Link TL-WR845N 300 Mbps Wi-Fi


3 5dBi অ্যান্টেনা TP-Link TL-WR845N দাম ১৮০০ টাকার মতো, আবারও TP-Link রাউটার। উপরে যে TP-Link রাউটার টি দিয়েছি, ওটা হয়তো সব বাজারে বা সব সময় অ্যাভেলাবেল পাবেন না। তাই TP-Link এর জনপ্রিয়তার প্রেমে পড়ে যদি কেউ TP-Link রাউটার ই কিনতে চান, তাহলে এটা আপনাদের জন্য।

৩০০ 300 Mbps এই রাউটার টি বাজারের অত্যান্ত প্রভাবের সাথে যায়গা করে নিয়েছে। আর এটা বাজারে গেলেই বুঝতে পারবেন। কেননা প্রতিটি দোকানেই এই রাউটারটি আপনার চোখে পড়বে।

6/ D-Link DIR-890L


1300 Mbps,4 x 5dBi অ্যান্টেনা D-Link DIR-890L দাম ১২৮০০ টাকার মতো, তবো এটা বাড়তে এবং কমতে পারে।

হ্যা আপনি ঠিক ই দেখেছেন। আমিও প্রথমে ১২৮০ টাকা ভাবতে গেছিলাম। পরে ভালো করে তাকিয়ে মাথা পিছনে চলে যায়। কিন্তু গুগলে সার্স করে অফেশিয়াল সাইট থেকেও দেখতে পারেন।

শুধু কি দামেই বেশি, না কামেও বেশি। এর বডি এবং ডিজাইন যদি আপনি দাম দেখার আগে দেখেন, তাহলে ১২৮০০ টাকা এর দাম, তা মেনে নিতে আপনার কোন কষ্ট ই হবে না। কারন যেমন এর ডিজাইন, আবার তেমন বডি। শুধু তাই নয়, এটা আপনার বড় বাড়িটাকেও শক্তিশালী ইন্টারটের আনাগোনায় ভরপুর করে দিতে পারবে।

যদি বড় ফ্লাট বা অফিসের জন্য রাউটার নিতে চান, তাহলে এই রাউটার টি আপনার ই জন্য। একটি অত্যান্ত শক্তিশালী ইন্টারনেট উপহার দিবে এই রাউটার আপনাকে। আর ১৩০০ Mbps কেমন ইন্টারনেট প্রাভাইড করতে পারে , তা যদি আপনি আগে ব্যাবহার করে থাকেন, তাহলেই বুঝবেন, না হয় কল্পনাও করতে পারবেন না।

এই ধরনের আরো অনেক রাউটার আছে, স্বাধারনত এগুলোই বেশি কিনে সবাই, তাই এগুলোর মুল্য দেওয়া হলো। আপনি চাইলে অন্যগুলো গুগল থেকে সার্চ করে দেখতে পারেন।

 

আমার শেষ কথা:

রাউটার যদি অনলাইন থেকে কিনতে চান, বা কম মুল্য়ে খুজেন, তাহলে ফেসবুকে “কলিজা শপ “লিখে সার্স করলে একটি পেজ পাবেন, শপিং পেজ। এই পেজ থেকে আপনার পছন্দের রাউটারটি কিনতে পারেন। আর মেসেজ করে এই ওয়েবসাইটের রেফারেন্স দিলে আপনাকে তারা পাইকারী মুল্যে দিবে। এবং সাত দিনের ব্য়াক করার সুযোগ দিবে।

আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই । ভালো থাকুন সবাই, আর এই ওয়েবসাটে নিয়মিত ভিসিট করতে থাকুন, আর দারুন দারুন তথ্য পেতে থাকুন।

 
 
মানুষ যা লিখে সার্চ করে: ভালো রাউটার চেনার উপায়,সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি,কোন কোম্পানির রাউটার ভালো,কম দামে ভালো রাউটার ২০২২,টিপি লিংক রাউটার দাম,কোন রাউটারের রেঞ্জ বেশি