কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে | এলার্জি কমাতে খাবারের তালিকা

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে ও কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে: এলার্জি এতটাই অপ্রীতিকর রোগ যে নিজের ইচ্ছা খুশি মতো খাবার খাওয়া থেকে বঞ্চিত করে। যে যে খাবার খেলে শরীরে অ্যালার্জি বাড়ে সেই সব খাবার থেকে বিরত থাকা অনেক ভালো। 

 

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে | কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই |

 

তাই এলার্জি বৃদ্ধি থেকে সতর্ক থাকতে কৌতূহল হয়, কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে । আপনার একান্ত সহযোগিতায় কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে তার তালিকা বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো।

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা: এলার্জি এমন একটি রোগ যা একদম অস্বস্তিকর। এলার্জির জায়গায় চুলকাতে চুলকাতে জীবনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তাই আপনার নিত্যদিনের খাবার তালিকা কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে ওই সব এলার্জিযুক্ত খাবার গুলো একদম এড়িয়ে চলুন যা আপনার জীবনের জন্য অতি নিরাপদ ও সুন্দর সুখময় করে তুলবে।

 

১. চিংড়ি মাছ

মাছ একটি সুস্বাদু খাবার। চিংড়ি মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ উপাদান যা অনেক ভালো উৎস ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য। তবুও এলার্জি সংক্রমণ ব্যক্তিদের চিংড়ি মাছ এড়িয়ে চলায় ভালো। এছাড়া বিভিন্ন রকম মাছ খেলে এলার্জি হতে পারে যেমন: ম্যাকরল, টুনা ও স্যালমন। এগুলো মাছ থেকে বিরত থাকুন। এলার্জি নির্মূল হওয়ার পর থেকে পরিমান মতো খেতে পারেন।

 

আরো পড়ুন: 

এলার্জি ঔষধ এর নাম ও দাম | এলার্জি এন্টিবায়োটিক ঔষধ

See also  মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা | পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা

স্কিন এলার্জি ঔষধের নাম | স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়

চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম  ও দাম | সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ 

 

২. খোসা জাতীয় মাছ অর্থাৎ ইংরেজিতে শেল ফিস মাছ।

খোসা জাতীয় মাছকে ইংরেজিতে শেল ফিস মাছ বলা হয়। এই খোসা জাতীয় মাছ খেলে এলাৰ্জি হওয়ার সম্ভবনা অনেক। কেননা খোসা জাতীয় মাছ হলো ওয়েস্টার, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক।
 

৩. গরুর দুধে

দুধ নিত্যদিনের পুষ্টিকর একটি খাদ্য তবে গরুর দুধ খেলে এলার্জি হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। ১ থেকে ৪ বয়সী শিশুদের গরুর দুধ খাওয়ানো থেকে একদম সতর্ক থাকতে হবে। বেশি বয়সীদের জন্য গরুর দুধে এলাৰ্জি বৃদ্ধি প্রকমন কম থাকে।

 

৪. মিষ্টি কুমড়া (লাল জাতীয় সবজি)

মিষ্টি কুমড়া একটি গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের পছন্দনীয় সুস্বাদু খাবার। দুঃখের সাথে বলা যায় যে এলার্জি সংক্রমণ ব্যক্তিদের মিষ্টি কুমড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা অতি নিরাপদ। 

 

৫. গাজর (লাল জাতীয় সবজি)

লাল জাতীয় সবজি গাজর, টমেটো খেলে এলার্জি সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এই সবজি গুলো থেকে বিরত থাকা আপনার জন্য ভালো।

 

৬. গরুর মাংশ

যেহেতু গরুর দুধে এলার্জি আছে সেহেতু গরুর মাংস খেলে ও এলাৰ্জি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। যত সম্ভব এই গরুর দুধ, গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
 
আপনার অস্বস্তিকর এলাৰ্জি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, শুধু আপনাকে সঠিক ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সম্পূর্ণ এলাৰ্জি থেকে রক্ষা পাবেন।

 

 ৭. ডিম

ডিম একটি প্রোটিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার যা নিত্যদিনের খাবার তালিকায় থাকে। তবে ডিমের মধ্যে সাদা চামড়া অংশ যা প্রোটিন দ্বারা গঠিত, এই ডিমে প্রোটিন থাকার কারণে শরীরে এলাৰ্জির সংক্রমণ বাড়তে পারে। 

 
এলাৰ্জির সংক্রমণ ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ করে হাঁসের ডিম্ খাওয়া থেকে একদম বিরত থাকতে হবে।

 

৮. বেগুন

বেগুন এমন একটি খাবার যা অনেকেরই পছন্দ ও অপছন্দ। যাদের পছন্দনীয় খাবার তাদের জন্য এই সবজিটি এড়িয়ে চলা অত্যন্ত ভাল যা আপনার এলাৰ্জি সংক্রমণ অনেক বেশি দূর হবে।

See also  পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় | গুরুত্বপূর্ণ ৭টি উপায়

 

৯. ইলিশ মাছ

কোনো কোনো ব্যক্তির ইলিশ মাছ খেলে শরীরে এলার্জি বেশি হয়। তাই এলার্জি সম্পূর্ণ দূর না হওয়ার আগে এই ইলিশ মাছ না খাওয়ায় উত্তম।

 

১০. বাদাম

ছোট থেকে বড় সকলেই বাদাম খেতে পছন্দ করে। বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি খাবার। তবে এলাৰ্জি সংক্রমণ ব্যক্তিদের বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

 
বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে এলাৰ্জি সংক্রমণ বৃষ্টি পেতে পারে। চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম, ব্রাজিল নাট, আখরোট এগুলো খেলে এলাৰ্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সকল বাদাম খেলে এলাৰ্জি হয় না। তবুও এলাৰ্জি ব্যক্তিদের জন্য এই সব খাবার থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
 

১১. গমের আটার বা গমের আটার বিভিন্ন খাবার:

গমের আটা বা গমের আটার খাবার একটি পুষ্টিকর খাবার। এই গমের আটা থেকে এলার্জি সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই আপনার জন্য এই গমের আটা তৈরিকৃত খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এলাৰ্জি থাকলে, একদম এই খাবার থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

 

১২. সয়াবিন জাতীয় সয়াবিনের খাবার

১১ বছরের উপরে সয়াবিন জাতীয় খাবার থেকে এলার্জি প্রকোপ খুব কম। সয়াবিন জাতীয় খাবার থেকে এলার্জি একদম না থাকলেই চলে। সয়াবিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে ১১ বছরের বাচ্চাদের জন্য সয়াবিন জাতীয় খাবার অত্যন্ত এলাৰ্জি বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই সয়াবিন জাতীয় খাবার থেকে বেঁচে থাকা অধিক উত্তম।

 

১৩. কলা (অতিরিক্ত পরিমানে খেলে)

অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে আপনার শরীরে অ্যালার্জি বাড়তে পারে তাই যতটা সম্ভব অতিরিক্ত কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

 

আরো পড়ুন: 

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার তালিকা

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ৭টি উপায়

 

কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই | এলার্জি কমাতে খাবারের তালিকা

“কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই” এলার্জি সংক্রমণ ব্যক্তিদের জানার অনেক কৌতূহল থাকে।

আপনার নিত্যদিনের খাবার তালিকায় এমন সকল খাবার খান, যাতে করে এই এলার্জি সংক্রমণ কমতে শুরু করে। এলার্জি হীন খাবার খান পাশাপাশি সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করে ডাক্তারের নিকটে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। অবশ্যই আপনার এই এলার্জি দূর হবেই।

See also  টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে | জানুন বিস্তারিত

নিম্নে খাবারের নাম সহ বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হলো:

 

১. সবুজ-চা (গ্রীন-টি)

গ্রিন টি মানব শরীরের জন্য একটি উপকারী খাবার, তেমনি এলার্জি কমাতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে এই গ্রিন-টি। নিয়মিত গ্রিন টি খান এবং আশা করি আপনি এলার্জি থেকে মুক্তি এবং শান্তি পাবেন।

গ্রিন টি-তে উপস্থিত উপাদান হল অ্যান্টি-হিস্টামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা অ্যালার্জি কমাতে বড় ভূমিকা পালন করে।

২. আদা/আদা দ্বারা চা

আদা পরিস্কার করে ছোট ছোট করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন। নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে এইভাবে খেতে দারুন লাগে। যাই হোক, এইভাবে খেতে পারেন অবশ্যই এলার্জি অনেক বেশি কমে যাবে। এছাড়া পরিমাণ মতো আদা, চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে করে অবশ্যই উপকার পাবেন। তবে আদা দিয়ে লবণ এর মাধ্যমে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৩. শসা:

সবুজ রঙের সবজি শসা কে, না খেতে পছন্দ করে । এলার্জি সংক্রমণ ব্যক্তিদের জন্য শসা অত্যন্ত উপকারী খাবার। শসাতে থাকা ভিটামিন সি এলার্জি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
এছাড়া শর্করা, খনিজ, ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান নিয়ে গঠিত এই প্রাকৃতিক সবচেয়ে শসা। তাই আপনার নিত্যদিনের খাবার তালিকায় অবশ্যই শসা যুক্ত করতে দ্বিধা করবেন না।

 ৪. কমলা

কমলা ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি খাবার যা মানুষের জীবনে সুস্থ থাকতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভালো কথা হলো, কমলা লেবুর ফলের মধ্যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ উপাদান আছে যা কমলা ফল খেলে অ্যালার্জি কমে যায়, তাই সপ্তাহে অন্তত একটি বা দুই বা তিনটি কমলা খাওয়া যেতে পারে, যা খুবই উপকারী হবে।

৫. লেবু

ভাতের সাথে আবার কেউ কেউ খালি মুখে লেবু খেতে পছন্দ করেন লেবু হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ উপাদান ফল যা এলার্জি কমাতে অধিক কার্যকরী।

নিয়মিত লেবুর রস, পানি ও মধু এই তিনটি পরিমাণ মতো মিশ্রণ করে, এক গ্লাস পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে শরীরের বিষাক্ত ও খারাপ পদার্থ বিদাই হয়ে এলার্জি সমস্যা গুলো কমতে শুরু করে।

আমার শেষ কথা: কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই | এলার্জি কমাতে খাবারের তালিকা এগুলো নিয়েও বিস্তারিত ভাবে সঠিক তথ্য  প্রদান করেছি। আশা করছি আপনাদের এই ব্লগপোস্টটি ভালো লেগেছে। তাই আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 

 

Content Tag: এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ, এলার্জি মুক্ত খাবার তালিকা,এলার্জি কমানোর উপায়,মুরগির মাংসে কি এলার্জি আছে,কি কি খাবারে এলার্জি আছে,কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে,কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই,কোন কোন মাছে এলার্জি আছে,এলার্জি জাতীয় সবজি তালিকা